ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কি

সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ঘুম একটি অত্যাবশ্যকীয়  প্রক্রিয়া।ঘুম ছাড়া মানুষ অসম্পূর্ণ ও অসুস্থ। আমাদের আজকের লেখা ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ঘুম নিয়ে নানা ধরনের তথ্য। ঘুম কম হলে আমাদের শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়।নিয়মিত ঘুম না হলে আমরা শরীরের শক্তি পাই না এবং কোন কাজকর্ম ঠিকমতো করতে পারি না।এজন্য নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে এবং ঘুম কম হলে কি করতে হবে,এ সকল বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের লেখা ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কি আর্টিকেলটি ভিজিট করতে হবে।

সূচিপত্রঃ

  • ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কি
  • কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
  • রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম কি
  • রাতে ঘুম কম হলে কি কি সমস্যা হয়
  • ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কি এটা নিয়ে শেষ কথা

ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কিঃ

ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কি এসব বিষয়ে জানতে হলে,ভিজিট করুন আমাদের আজকের লেখা ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কি এই আর্টিকেলটি।এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে ঘুম নিয়ে নানারকম তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।আমাদের শরীর সারাদিনের নানা রকমের কাজকর্মের পর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।তখনই আমাদের ঘুমের প্রয়োজন হয়। একজন স্বাভাবিক মানুষের দিনে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা অথবা সব মিলিয়ে প্রায় সাত ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন।

এই ঘুম যখন কম হয়।তখন আমাদের শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়।কারণ মানব শরীরের জন্য ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। রাতে যদি ঠিকমত ঘুম না হয়।তাহলে সারাদিন ঘুম ঘুম লাগে এবং কোন কাজেই মনোযোগ আসে না।এভাবে দীর্ঘদিন ঘুম না হওয়ার ফলে একসময় অসুস্থতায় ভুগতে হয়। নিয়মিত ঘুম না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে।ঠিক তেমনি ঘুম কম হলে অনেক করণীয় রয়েছে।ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কি এ সকল বিষয়ে নানা রকম তথ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়ঃ

অনেক সময় আমাদের ঘুম কম হয়।আমরা এ বিষয়টা নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে যাই।কেন ঘুম হচ্ছে না,কি করলে ঘুম হবে, ঘুম না হওয়ার জন্য আস্তে আস্তে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে।তখন দুশ্চিন্তাও বেড়ে যায়।এই ঘুম না হওয়ার কারণ আমরা অনেকেই জানিনা। ঘুম কম হলে আমাদের নানা রকম ক্ষতি হয়।এক রাত যদি ঘুম না হয় তখন দেখা যায়।সারাদিন শরীরের মধ্যে শুধু ঘুম ঘুম একটা ভাব থাকে।কোন কাজেই সঠিকভাবে মনোযোগ আসে না।ঘুম হলো আমাদের সমস্ত ক্লান্তি দূর করার একটি মাধ্যম।

সারাদিন যত পরিশ্রমই করি না কেন,রাতে যদি ভাল ঘুম হয় তাহলে পরের দিন আবারো পরিশ্রম করার জন্য আমাদের শরীর প্রস্তুত হয়ে যায় কিন্তু যদি সারাদিন পরিশ্রম করার পর ঘুম ঠিকমতো না হয়।তাহলে আমরা আর কোন কাজই ভালোমতো করতে পারি না। পাঁচটি ভিটামিনের অভাবে আমাদের রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না এ পাঁচটি ভিটামিন হলো ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি,ভিটামিন বি ১২,ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এই পাঁচটি ভিটামিনের অভাবে আমাদের ঘুম কম হয়। নিয়মিত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।নিয়মিত ঘুম না হলে আমরা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়বো।তাই কেন নিয়মিত ঘুম হচ্ছে না,সে বিষয় আমাদের বিশেষভাবে খেয়াল করা উচিত।

রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম কিঃ

যেহেতু ঘুম আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে,তেমনিই ঠিকমতো ঘুম না হলে আমরা অসুস্থ হয়ে যাযই। ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।রাতে ঘুম না আসা বা আসলেও বারবার ভেঙে যাওয়াকে বলা হয় ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা রোগ।রাতে ঘুম ঠিকমতো না হওয়ার কারণে, দিনের বেলা ঘুমানো সারাদিন ঝিমুনি ভাব,কাজে মনোযোগ না দিতে পারা,সারাদিন মেজাজ খিটখিটে ও বিষন্ন হয়ে থাকার মত ঘটনা ঘটে।শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা রোগ হতে পারে।
নিয়মিত ঘুম না হলে অনেক ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়।যেমন,ডায়াবেটিক,উচ্চ রক্তচাপ,ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি রোগ। ঘুম আমাদের স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়,আয়ু কমিয়ে দেয় এবং শরীরে বয়সের একটা ভাব চলে আসে।যেহেতু ঘুম আমাদের শরীরের অনেক উপকারী।সেহেতু নিয়মিত ঘুমাতে হবে।আমরা অনেকেই আছি অনেক রাত পর্যন্ত মোবাইল বা টিভি দেখি।এভাবে মোবাইল বা টিভি দেখতে দেখতে একটা সময় আমাদের ঘুমের সমস্যা হয়ে যায়। কাজেই আমরা চেষ্টা করব রাত জেগে মোবাইল চালানো বা টিভি দেখা থেকে বিরত থাকার।

রাতে ঘুম কম হলে কি কি সমস্যা হয়ঃ

নিয়মিত ঘুম না হলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।সারাদিন আমরা নানা ধরনের পরিশ্রম করে থাকি এবং রাতে যদি ঘুম ঠিকমতো না হয়।তাহলে আমরা এই পরিশ্রমগুলো করতে পারবো না।ঘুম আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।তাই নিয়মিত ঘুমানো প্রয়োজন।ঘুম না হলে শরীরে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়।ঘুম কম হলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়,প্রেসার বেড়ে যায় এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।এক্ষেত্রে বেশিক্ষণ মোবাইল,কম্পিউটারে তাকানো,নাক ডাকা বা অনিদ্র রোগের জন্য সমস্যা হতে পারে।

রাতে শান্তির ঘুম আমাদের প্রতিটি মানুষেরই খুব প্রয়োজন। সুস্থ শরীরের জন্য ঘুমের প্রয়োজন কতটা।তা আমরা অনেকেই জানিনা।ভাল ঝরঝরে ঘুম শরীর কেউ ঝরঝরে রাখে।বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,ঘুমের মধ্যে শরীর নিজের জরুরী কাজ করে নেয়, ঘুমের মধ্যে মনও ঠিকমতো কাজ করে নেয়।ঘুমের মধ্যে মন যত রাজ্যের অদ্ভুত চিন্তা দূর করে নেয়। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করতে হবে। রাতের বেলা ঘুম কম হলে নানা রকম সমস্যা হয়।যেমন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়,বিভ্রান্তি,মাংসপেশিতে খিচ করে ওঠে,ওজন বেড়ে যায়, ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,কোলেস্টেরল ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। 
রাতে ঘুম কম হলে আমাদের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায় এবং চুল উঠে যায়।চোখ গর্তের মধ্যে চলে যায়।এক কথায় রাতে ঘুম কম হওয়ার কারণে আমারে আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।

ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কি এটা নিয়ে শেষ কথাঃ

ঘুম কেন কম হয়-ঘুম কম হলে করণীয় কি এ বিষয়ে নিয়ে শেষ কথা হল,ঘুম যেহেতু আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ।ঘুম না হলে আমাদের শরীরে নানা রকমের অসুখ বাসা বাঁধে। প্রতিদিন ছয় ঘন্টার কম ঘুমালে শরীরে একাধিক ক্ষতি হয়।আর এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে একসময় তা মানুষের আয়ুর উপর প্রভাব ফেলে।একাধিক গবেষণা বলা হয়েছে,দীর্ঘদিন ধরে 6 ঘন্টা বা তার কম সময় ঘুমালে ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,ওবেসিটি বৃদ্ধির মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে,ছয় ঘন্টার কম ঘুমালে বা বারবার ঘুমের মধ্যে জেগে যাওয়ার কারণে ধমনীতে এক ধরনের চর্বি জাতীয় প্রাচীর তৈরির আশঙ্কা সৃষ্টি করে।রাত হলে সময়মতো বিছানায় যান ঠিকই কিন্তু ঘুম আসে না।।কিছুতেই ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে করতে রাতের প্রায় অর্ধেকই পার হয়ে যায়।বিছানায় এপাশ-ওপাশ করতে করতে এমন সমস্যায় যারা আছেন।
তারা অনেকেই ঘুমানোর জন্য ঘুমের ওষুধের সাহায্য নিয়ে থাকেন কিন্তু ঘুমের ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা ও শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।ঘুম মূলত আমাদের শরীরের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ ও শক্তি সঞ্চয়ের একটি প্রন্থা। কিন্তু নিয়মিতভাবে ঘুম কম হলে শরীরে নানা রোগ ব্যাধি বাসা বাঁধে এবং শরীরের গতি হারিয়ে ফেলে।অকালে বৃদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিও অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। 
যেহেতু ঠিকমতো ঘুম না হলে আমাদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়।সেহেতু আমরা নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করব।দিনে অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।এর কম ঘুম হলে আমাদের শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিবে। কাজেই আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য,দিনে ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলবো।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)